বিয়ে করছেন রানী মুখার্জি!

মেঘে মেঘে বেলা তো অনেক হলো। এবার থিতু হওয়ার তাগিদ অনুভব করছেন অভিনেত্রী রানী মুখার্জি। মুখার্জি পরিবারও চাইছে মেয়েটা বিয়ের পিঁড়িতে বসুক। শোনা যাচ্ছে, এবার নাকি বাধ্য মেয়ের মতো সেই কাজটিই করতে যাচ্ছেন তিনি। শিগগির বিয়ে করতে যাচ্ছেন একসময়ের বলিউড-রানি। তবে পাত্র কে, সে খবর এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকেও কেউ এ ব্যাপারে মুখ খোলেনি। শুধু এটুকু জানা গেছে, আসছে অক্টোবরে দুর্গাপূজার পর বিয়ের অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে। অর্থাৎ আগামী নভেম্বর নাগাদ সাত পাকে বাঁধা পড়ছেন রানী।

নির্মাতা আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে বহুদিন ধরে তাঁর মন দেওয়া-নেওয়া চলছে। সম্ভাব্য পাত্র হিসেবে তাঁর নামটিই শোনা যাচ্ছে। ইতিপূর্বে এমন কথাও শোনা গেছে, রানীর সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে আদিত্য চোপড়া স্ত্রীর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কের ইতি টেনেছেন। সুত্র: ওয়েবসাইট।

শাকিরার বিরুদ্ধে অভিযোগ

সম্প্রতি কলাম্বিয়ান পপ তারকা শাকিরার একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশিত হয়েছে ইউটিউবে। ভিডিওটিতে তাকে দেখা গেছে হেলমেটবিহীন অবস্থায় মোটর সাইকেলে চড়ে ঘুরতে এবং রাস্তায় ফোয়ারার পানিতে নৃত্য প্রদর্শন করতে। উত্তেজক নৃত্যভঙ্গি এবং বিকিনি সদৃশ সাজ-সজ্জার কারণে রাস্তায় ট্রাফিক সিস্টেমেও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ডিজি রাসক্যালের সঙ্গে শাকিরার একটি ডুয়েট গানের মিউজিক ভিডিওর শুটিংয়ের সময় আইন ভাঙ্গা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে স্পেনের বার্সেলোনা নগর কর্তৃপক্ষ। শাকিরার বিশৃঙ্খল আচরণের জন্য তাকে জরিমানা করার কথাও ভাবছে তারা। কোনো রকমের অনুমতি ছাড়াই নাকি শাকিরা বার্সিলোনার বিভিন্ন স্থানে এমনকি ঐতিহাসিক প্লা ডি পালাউ এ তার এই মিউজিক ভিডিওটির শুটিং করেছেন। শাকিরা আরও কোনো আইন ভঙ্গের কাজ করেছেন কি-না সেটি খতিয়ে দেখার জন্য ইউটিউবে প্রকাশিত সেই ভিডিও ফুটেজ দেখে এখন তদন্ত করা হবে।

ক্যাটরিনার এক্সিটে সোনম ইন!

 শিডিউল জটিলতা আর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে হলিউডি ছবি �দ্যা ইটালিয়ান জব� এর বলিউডি রিমেক থেকে পিছু হটেছিলেন ক্যাটরিনা কাইফ। তবে ক্যাটরিনার শূন্যস্থানটি পূরণ করতে বেশি সময় নেননি ছবিটির দুই পরিচালক আব্বাস-মাস্তান। ক্যাটরিনার বিকল্প হিসেবে তারা খুঁজে নিয়েছেন হালের বলিউডি হার্টথ্রব সোনম কাপুরকে। খবর মিড-ডেডটকমের।

সংবাদমাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, �দ্যা ইটালিয়ান জব� এর বলিউডি রিমেক ছবিটিতে ক্যাটরিনার অভিনয়ের কথা থাকলেও, তিনি হঠাৎ করেই তা বাতিল করে দেন। তার এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে শিডিউল জটিলতার সমাধান আর নতুন নায়িকা খুঁজে নিতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগবে না এমন কথাও জানিয়েছিলেন আব্বাস-মাস্তান। ক্যাটরিনার পরিবর্তে সোনম কাপুরকে নিয়ে তারই সত্যতা প্রমাণ করলেন এই পরিচালক জুটি।

জানা গেছে, এর আগে �রেস� ছবিতে আব্বাস-মাস্তানের সঙ্গে কাজ করেছিলেন ক্যাটরিনা কাইফ। সেবার ক্যাটরিনার অভিনয় প্রতিভায় মুগ্ধ আব্বাস-মাস্তান তাদের নতুন প্রজেক্ট �দ্যা ইটালিয়ান জব�-এর বলিউডি রিমেকে ক্যাট অভিনয় করবেন এমনটাই আশা করছিলেন।

উল্লেখ্য, মূল ছবিতে ওই চরিত্রে ছিলেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী চার্লিজ থেরন। ছবিটির বলিউডি রিমেক নিয়ে আইনি জটিলতা এড়াতে হলিউড ফ্লিক এর সঙ্গে চুক্তি করার কাজটিও সেরে নিয়েছিলেন এই দুই পরিচালক। তবে ক্যাটরিনার পিছু হটায় ছবিটির কাজ আটকে যাবে- সমালোচকদের এমন মন্তব্যকে মিথ্যে প্রমাণ করে দিলেন তারা ক্যাটরিনার চরিত্রে সোনমকে নিয়ে।

উল্লেখ্য, ছবিটিতে সোনম কাপুরের বিপরীতে অভিনয় করবেন অভিষেক বচ্চন। অভিষেকের বিপরীতে এটিই সোনমের প্রথম ছবি নয়। এর আগেও �দিল্লী-সিক্স ছবিটিতেও জুটি বেঁধেছিলেন এই দুই তারকা। সোনম ও অভিষেক ছাড়াও ছবিটিতে আরও অভিনয় করবেন নেইল নীতিন মুকেশ এবং অভয় দেওলের মতো তারকারা।

সংসার ভাঙছে জ্যকসনের মা-বাবার

৬০ বছরের দাম্পত্যজীবন ভাঙতে চলেছে। সুখ-দুঃখে যাঁরা ছিলেন একে অন্যের আশ্রয়স্থল, তাঁদের সম্পর্কের যবনিকা ঘটতে যাচ্ছে তিক্ততার মধ্য দিয়ে। প্রয়াত পপসম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের মা ক্যাথরিন (৮০) সম্প্রতি আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন। তাঁর অভিযোগ, এক সাক্ষাত্কারে স্বামী জো জ্যাকসন (৮১) তাঁর বিরুদ্ধে অন্যায়, অযৌক্তিক কথাবার্তা বলেছেন। মাইকেলের মৃত্যুর জন্য জো জ্যাকসন তাঁকে দায়ী করেছেন বলে অভিযোগ করেন ক্যাথরিন।

এক সাক্ষাত্কারে জো বলেছিলেন, "মাইকেলের মৃত্যুর কিছুদিন আগে স্ত্রীকে বললাম, যাও, ছেলেটার সঙ্গে গিয়ে কিছুদিন থাকো। কিন্তু ছেলের ব্যক্তি স্বতন্ত্রতা ও গোপনীয়তা নষ্ট হবে-এমন অজুহাত দেখিয়ে ক্যাথরিন যায়নি। সে গেলে মাইকেলকে হয়তো এভাবে অকালে মরতে হতো না।" জোর এমন কথায় বেজায় চটেছেন ক্যাথরিন। তাই বিবাহবিচ্ছেদের এই সিদ্ধান্ত। ওয়েবসাইট।

ঈদের টেলিফিল্মে মোহনের অভিষেক

ক্যামেরার সামনে সাবাবা মোহনের প্রথম পদযাত্রা সেই চার বছর বয়সে। জনপ্রিয় নাট্যকার ও পরিচালক মোহন খানের 'তাহাদের বসন্ত দিনে' নাটকে বিজরী বরকতউল্লার মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিল সাবাবা। তারপর বেশ কিছু খণ্ড নাটক, ধারাবাহিক নাটক এবং বিজ্ঞাপনচিত্রে সাবাবাকে দেখা গেছে শিশু শিল্পীর ভূমিকায়। এরপর দীর্ঘ বিরতি। এই দীর্ঘ বিরতি সম্পর্কে সাবাবার উত্তর, আসলে বাবা চাননি। বাবার ইচ্ছে ছিল বড় হয়ে আমি যেন নাটকে নিয়মিত হই। আর সেই ইচ্ছেরই প্রতিফলন ঘটতে যাচ্ছে এবার ঈদে। সাবাবার বাবা গুণী নির্মাতা মোহন খানের 'আই লাভ ইউ তিনটি কারণে' টেলিফিল্ম দিয়ে সাবাবা মোহনের টিভি নাটকে স্থায়ীভাবে পথ চলা শুরু হতে যাচ্ছে। এ টেলিফিল্মে সাবাবার বিপরীতে অভিনয় করেছেন শাহরিয়ার নাজিম জয়, মীর সাব্বির, শোয়েব, রওনকের মতো তারকা শিল্পীরা। প্রথমবারের মতো এদের বিপরীতে অভিনয় করতে গিয়ে সাবাবা কি একটুও ঘাবড়ে গিয়েছেন কিনা এ প্রসঙ্গে সাবাবা বলেছেন, কেন, এদের সবাইকে তো আমি সেই ছোট বেলা থেকেই আমাদের বাসায় পারিবারিক বন্ধু হিসেবে দেখে এসেছি। আর এ নাটকে এরা সবাই আমাকে এতো সহযোগিতা করেছেন যে আমি একবারের জন্যও বুঝতে পারিনি আমি নতুন। টিভি পর্দায় নিয়মিত হবেন কিনা এ উত্তরে সাবাবা বলেন, অবশ্যই। অলরেডি আমি বাবার রচনা ও পরিচালনায় 'একলা পাখি' নামে একটি দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছি। এখন আমার 'এ' লেভেল চলছে। পড়া লেখাটাকে আপাতত প্রাধান্য দেবো। ফাঁকে ফাঁকে ভালকিছু কাজে নিজেকে জড়িয়ে রাখবো। একক নায়িকা হিসেবে সাবাবা মোহনের প্রথম টেলিফিল্ম 'আই লাভ ইউ তিনটি কারণে' প্রচার হবে আরটিভিতে ঈদের পঞ্চম দিন দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে।

ঈদে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করবেন হিমু

সোমবার রাত ৮টা ১৫ মিনিটে বাংলাভিশনে প্রচার হবে ধারাবাহিক নাটক 'ম্যাডভাই'। মাসুম রেজার রচনা ও কাজী আমিরুল ইসলাম শোভার পরিচালনায় এ নাটকে অভিনয় করেছেন হোমায়রা হিমু। অভিনয় ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে এবারে 'মুখোমুখি' বিভাগে কথা বলেছেন হিমু। প্রতিবেদক: �ম্যাডভাই� নাটকে কুষ্টিয়ার ভাষায় অভিনয় করতে কেমন লেগেছে? হিমু: সবাই মিলে আনন্দের সঙ্গে কাজ করেছি। মজার ব্যাপার হল, শুটিংয়ের আগে আমরা সবাই একসঙ্গে বসে ডায়লগ পড়তাম। মনে হতো সবাই যেন স্কুলে পড়ছি। প্রতিবেদক: এ নাটকে পায়রা চরিত্রে অভিনয় করছেন। পরবর্তীতে পায়রার প্রেমকাহিনী কোন দিকে মোড় নেবে?? হিমু: আমার ও শাহরিয়ার শুভর প্রেমকাহিনী তুঙ্গে থাকবে। আমি শহরে গিয়ে আবার গ্রামে চলে আসব। একসময় প্রেমিকের সামনে আমি লজ্জায় কথাই বলতে পারব না। প্রতিবেদক: আপনার অভিনীত প্রচারের অপেক্ষায় থাকা ধারাবাহিকগুলো কি কি? হিমু: অনেকগুলো ধারাবাহিকই প্রচারের অপেক্ষায় রয়েছে, এর মধ্যে সকাল আহমেদের 'চৌমহল', হিমু আক্রামের 'জাদুকর', কায়সার আহমেদের 'উত্তরাধিকার', আজহারুল ইসলামের 'ভদ্দরনোক' উল্লেখযোগ্য।

প্রতিবেদক: ঈদের নাটকের খবর কি?
হিমু: বেশকিছু নাটকেই কাজ করেছি। তবে প্রচারের আলোয় আসবে সাইদুল আনাম টুটুলের 'ব্যাচেলর ভাড়াটিয়া', শাফায়েত মনসুর রানার 'ক্লিকক্লিক', মনিরুল ইসলাম সোহেলের 'ছায়াসঙ্গী', সোহেল আরমানের 'মেঘমন' ইত্যাদি।

প্রতিবেদক: ঈদে ভিন্নধর্মী কোনও অনুষ্ঠান করছেন কি?
হিমু: হ্যাঁ। 'গানে গানে তারারমেলা' নামে একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেছি। এতে পুরনো দিনের জনপ্রিয় কিছু গানের সঙ্গে তারকা শিল্পীরা পারফর্ম করবেন। অনুষ্ঠানটি ঈদের দ্বিতীয় দিন বিটিভিতে প্রচার হবে।

প্রতিবেদক: আপনার অভিনীত একমাত্র ছবি 'আমার বন্ধু রাশেদ' শুনেছি মুক্তির মিছিলে?
হিমু: হ্যাঁ। সম্প্রতি ছবিটির মুক্তির সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর ছবিটি মুক্তি পাবে।

ঈদের ছবি নাম্বার ওয়ান শাকিব খান

এবারের ঈদের ছবি মোহাম্মদ হোসেনের 'নাম্বার ওয়ান শাকিব খান'। ছবিটি পরিচালনা করেছেন বদিউল আলম খোকন। নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শাকিব খান নিজেই। অনেক দিন পর কোন তারকার নামে ছবি নির্মাণ হয়েছে। এর আগে সোহেল রানা, রুবেল আমার নাম, মৌসুমী এবং মান্না ভাই নামে ছবি নির্মাণ হয়েছে।

নাম্বার ওয়ান শাকিব খান নির্মাণ হয়েছে গ্রামীণ কথাচিত্রের ব্যানারে। প্রযোজনা করেছেন আবদুর রহমান। ব্যাংককের সমুদ্র শহর পাতোয়ায় চিত্রায়িত সামাজিক অ্যাকশনধর্মী ছবিটিতে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, অপু বিশ্বাস, নবাগতা অনন, নূতন, আলীরাজ, সাদেক বাচ্চু, প্রবীর মিত্র, আফজাল শরীফ, ইলিয়াস কোবরা, পলাশ, গাঙ্গুয়া ও মিশা সওদাগর। ছবিটির কাহিনী ও সংলাপ লিখেছেন কাশেম আলী দুলাল, চিত্রগ্রহণে আসাদুজ্জামান মজনু, সংগীত আলী আকরাম শুভ, সম্পাদনা জিন্নাত হোসেন জিন্নাহ, নৃত্যে মাসুম বাবুল, অ্যাকশন আরমান, স্থিরচিত্রে আইয়ুব আকন্দ।

'নাম্বার ওয়ান শাকিব খান' ছবির নিবেদক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, জমজমাট গল্প নিয়ে ব্যাংককের পাতোয়ায় মনোরম লোকেশনে ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস ছবিটি সবার ভাল লাগবে।

ঢাকা আসছেন সোনিয়া লোপেজ

হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল সোনিয়া লোপেজ আসছে ডিসেম্বরে ঢাকা আসছেন। মূলত তিনি একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়ার আমন্ত্রণে ঢাকায় আসছেন। ঢাকায় এসে তিনি ওয়ার্কশপ অন স্ক্রিন অ্যাক্টিং শিরোনামের তিন দিনের একটি কর্মশালা পরিচালনা করবেন। সম্পূর্ণ আবাসিকভাবে আয়োজিত ঢাকার বাইরের অনুষ্ঠিতব্য ওই কর্মশালায় অভিনয় ও মডেলিংয়ের ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দেবেন তিনি। দেশে এখন চলচ্চিত্র এবং নাটক মাধ্যমে চলছে যথেষ্ট শিল্পী সঙ্কট। আর এই শিল্পী সংকট কিছুটা হলেও কাটিয়ে তোলার লক্ষ্যেই একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়ার উদ্যোগে আগ্রহী অভিনয় শিক্ষার্থীসহ মিডিয়ায় কাজ করতে আগ্রহীদের প্রশিক্ষণ দেবেন হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোনিয়া লোপেজ। আন্তর্জাতিকমানের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। আমেরিকার লসএঞ্জেলসে অবস্থিত স্ক্রিন অ্যাক্টরস স্টুডিওর ডিরেক্টর সোনিয়া লোপেজ সেখানে অভিনয়ের ওপরই প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। হলিউডে তার কাছ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শতাধিক শিক্ষার্থী হলিউডের বিভিন্ন ছবিতে অভিনয় করেছেন এবং এখনো করছেন। এক্সট্রিম জাস্টিজ এবং কুবাগুয়া সোনিয়া লোপেজ অভিনীত বিখ্যাত দুটি চলচ্চিত্র। ঢাকায় এসে সোনিয়া লোপেজ শুধু অভিনয়ের ওপরই নয়, মডেলিংয়ের ওপরও বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি ক্যামেরার বিভিন্ন কাজসহ আরও নানান বিষয়ে ধারণা দেবেন। ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে সোনিয়া লোপেজ ঢাকায় আসবেন বলে জানিয়েছেন একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়ার নির্বাহী পরিচালক বিবেশ রায়। সোনিয়া লোপেজের কর্মশালাটি চলার সময়ে এর মিডিয়া কনসালটেম্লট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সাংবাদিক অভি মঈনুদ্দীন।

রাজ্জাক-ডিপজলের দ্বন্দ্ব তুঙ্গে!

নায়করাজ রাজ্জাকের সঙ্গে জনপ্রিয় অভিনেতা ডিপজলের দ্বন্দ্ব তুঙ্গে। কেউ কাউকেই বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে রাজি নন। যে কোন সময় বেধে যেতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। সর্বত্র টানটান উত্তেজনা। ভয়ের কিছু নেই। এটা বাস্তবে নয়, পর্দায়। আলোচিত পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ঈদের ছবি রিকশাওয়ালার ছেলে�তে প্রচণ্ড বিত্তশালী আলমাস চৌধুরী রাজ্জাকের সঙ্গে 'রিকশাওয়ালার ছেলে' রুস্তম ডিপজলের দ্বন্দ্ব তৈরি হবে আলমাস চৌধুরীর কন্যা সেতু রুপি রেসীকে নিয়ে।

আলমাস চৌধুরী রাজ্জাকের চার মেয়ে। রেসী, মুক্তি, রুমানা ও শাকিবা। ছোট ভাই মিজু আহমেদ বড় ভাইয়ের সকল ব্যবসার দেখা শোনা করতে করতে এক সময় সবকিছু নিজের নামে করিয়ে নেন। তার আগে কাশেম ঢালী নামে আরেক বিত্তশালী মিশা সওদাগরের সঙ্গে রাজ্জাকের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ তৈরি হয়। দু'জন দু'জনের শত্রু বনে যায়। একদিন রাজ্জাকের কন্যা রেসীকে আক্রমণ করে মিশার তিন ভাই। রেসী দৌড়ে গিয়ে আশ্রয় নেয় রমজানের রিকশার গ্যারেজে। রমজান প্রবীর মিত্র একজন 'রিকশাওয়ালা' তার ছেলে রিকশা গ্যারেজের মিস্ত্রি ডিপজল। ডিপজল মাস্তানদের হাত থেকে রেসীকে উদ্ধার করে। ডিপজলের সহকারী টুনি দীঘি আর রিকশাওয়ালা কাবিলা যিনি গায়ক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। তারা ডিপজলকে অনুরোধ করেন রেসীকে রিকশায় বসিয়ে বাসায় পৌঁছে দিতে। ডিপজল রাজি হয় না। বলে আমি রিকশা গ্যারেজের মিস্ত্রি, রিকশা চালাই না। কিন্তু বাবা প্রবীর মিত্রের নির্দেশে ডিপজল রিকশা চালিয়ে রেসীকে রাজ্জাকের বাড়ি পৌঁছে দেন। খুশি হয়ে রাজ্জাক তাকে দুই লাখ টাকা দিতে চাইলে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। রাজ্জাক যখন জানতে চান বলো কি চাও তুমি? উত্তরে ডিপজল বলেন, বলা সহজ, দেয়া কঠিন। রাজ্জাক আবার জানতে চান বলো কি চাও? ডিপজলের উত্তর, আমিতো আপনার মেয়েকেও চাইতে পারি। এই কথায় শুরু হয় দ্বন্দ্ব।

একজন সামান্য রিকশাওয়ালা রুস্তম আলমাস চৌধুরীর কন্যার দিকে হাত বাড়াতে চায় দেখে ক্ষুব্ধ হন আলমাস চৌধুরী। শুরু হয় দ্বন্দ্ব। কিন্তু রেসী ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েন রিকশাওয়ালার ছেলে ডিপজলের প্রতি। ডিপজল এটা মেনে নিতে চায় না। কিন্তু রেসী নাছোড় বান্দা। এতে তার ছোট তিন বোনও বিরক্ত। তারা অনেক বড়লোক বিয়ে করবে বলে বোনকে জানায়। কিন্তু তিনজন ভালবাসে বেকার যুবক সম্রাট, স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী জায়েদ খান ও খেলনা গাড়ি দোকানের সেলসম্যান আমানকে। তিনজন মিথ্যা পরিচয় দিয়ে রাজ্জাকের তিন মেয়েকে ফাঁদে ফেলে। এদিকে ডিপজল রেসীর সম্পর্ক গভীর হতে দেখে রাজ্জাক ডিপজলকে মেরে ফেলার নির্দেশ দিলে মিজু আহমেদের ভাড়া করা বাহিনী ডিপজলকে মেরে আহত করে। এতে পিতা প্রবীর মিত্র তার রিকশাওয়ালা বাহিনী নিয়ে রাজ্জাকের বাসায় গিয়ে প্রতিবাদ করে। এই সুযোগ নেয় মিশা সওদাগর। ভ্যান চাপা দিয়ে প্রবীর মিত্রকে গুরুতর আহত করে।

মৃত্যুর সময় প্রবীর মিত্র ডিপজলকে কসম দিয়ে যান যে, দাম্ভিক আলমাস চৌধুরীর কন্যা রেসীকে 'রিকশাওয়ালার ছেলের বউ' করতে হবে। ডিপজল কসম খায়। শুরু হয় দ্বন্দ্ব। প্রচণ্ড বিরোধ। রাজ্জাক কন্যা হিসেবে রেসীকে অস্বীকার করে। এক সময় ডিপজল তার সহযোগী বড়লোকের সন্তান আলেকজান্ডার বো'র সহযোগিতায় রাজ্জাকের তিন কন্যার প্রেমিকদের আসল পরিচয় তুলে ধরলে রাজ্জাক সেই তিন কন্যাকেও বাড়ি থেকে বের করে দেন। এমন সময় আসল রূপ বের হয়ে আসে মিজু আহমেদের। সে মিশা সওদাগরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজ্জাকের সকল সম্পত্তি নিজের নামে করে নিয়ে রাজ্জাককে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। সব হারিয়ে রাজ্জাক নিজেও হয়ে যান 'রিকশাওয়ালা'। তার পর কি হয়-ছবি কোথায় গিয়ে শেষ এ বিষয়ে কিছু বলতে চাইলেন না ডিপজল।

বললেন, দ্বন্দ্বের শেষটা সবাই হলেই গিয়ে দেখবেন। শুক্রবার রাতে একেবারে ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে 'রিকশাওয়ালার ছেলে' ছবি দেখলেন ছবির অভিনেতা প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজল। যারা দেখলেন তারা সবাই ছবির প্রশংসা করলেন। এক বাক্যে বললেন, ছবিটি সবশ্রেণীর দর্শকই দেখবেন। গল্প, শিল্পী, অ্যারেঞ্জমেন্ট সব মিলিয়েই পরিপূর্ণ ঈদের ছবি 'রিকশাওয়ালার ছেলে'। রাজ্জাক ও ডিপজলের রিকশা চালানোটা দর্শকদের জন্য বিরাট পাওয়া হয়ে দেখা দেবে। তারকা সমৃদ্ধ এই ছবির অন্য শিল্পীরা হলেন- রেসী, রুমানা, সম্রাট, আলেকজান্ডার বো, মুক্তি, শাকিবা, জায়েদ খান, আমান, জায়েদ খান, টেলিসামাদ, নাসরিন, শানুশিবা, ডিজে সোহেল, সালাদিন, জিল্লুর রহমান, কাবিলা, মিশা সওদাগর, মিজু আহমেদ, প্রবীর মিত্র ও দীঘি।

রুবেল হাসপাতালে

 চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক রুবেল অসুস্থ। গত শুক্রবার রাতে গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যার কারণে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন রুবেল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধানমন্ডিস্থ সিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তার তাকে দেখে বিশ্রামে থাকার জন্য বলেন। বর্তমানে সিটি হাসপাতালেই রুবেলের চিকিৎসা চলছে।

ইতিমধ্যেই তাকে হাসপাতালে দেখতে গেছেন তার আত্মীয়-স্বজন, চলচ্চিত্রের বিভিন্ন ব্যক্তিসহ শিল্পী সমিতির সদস্যরা। মাসুম পারভেজ রুবেল সর্বশেষ নির্বাচনে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। সেই হিসেবে নিয়মিত সমিতির কাজ করে চলেছেন তিনি। সম্প্রতি সমিতির বিভিন্ন দিক নিয়ে বেশ কিছু পরিকল্পনা করেছেন তিনি। এছাড়া ‘বিচ্ছু বাহিনী’ ছবিটির সিক্যুয়েল নির্মাণের জন্য সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন।

ইফতার পার্টিতে তারকামেলা

 কাছাকাছি সময়ে সিনেমার কোন পার্টিতে একসঙ্গে এত তারকার উপস্থিতি অনেকটাই বিরল ঘটনা। পার্টি যদিও ইফতার আয়োজনের, তারপরও তারকার উপস্থিতিতে চলচ্চিত্রের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল প্রযোজক পরিবেশক সমিতির বৃহস্পতিবারের ইফতার পার্টি। হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত পার্টিতে সবাইকে চমকে দিয়েই হাজির হয়েছিলেন এক ঝাঁক চলচ্চিত্র তারকা। এদের মধ্যে ছিলেন শাকিব খান, ফেরদৌস, পপি, পূর্ণিমা, আমিন খান, তিন্নি, নিপুন, সাহারা, অমিত হাসান, মারুফ, ইমন, নিরব, সম্রাট, মুনমুনসহ সুপার হিরো-হিরোইনরা।

সিনিয়র তারকাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক, আলমগীর ও চম্পা। হাজির হয়েছিলেন সাংসদ কবরীও। আর প্রযোজক সমিতির মুখপাত্র মেগাষ্টার উজ্জ্বলতো পুরো আয়োজনের তদারকিতেই ছিলেন ব্যাস্ত। তারকাদের এমন বিরল উপস্থিতিতে উচ্ছাস প্রকাশ করতে দেখা গেল যাদের জন্য এই আয়োজন সেই চলচ্চিত্র পরিবারের লোকজনদেরকেও। সাধারণ প্রযোজকরাও তারকাদের উপস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

শুধু তারকাদের উপস্থিতিই নয়, ইফতার পার্টিতে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। স্বরাষ্ট্র সচিব আবদুস সোবহান শিকদার, তথ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, সংস্কৃতি সচিব শরফুল আলম, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ, এফবিসিসিআই�র সভাপতি এ কে আজাদ, এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতি, পিএসসি�র সচিব সহ র�্যাব, ডিএফআই ও পুলিশের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা প্রযোজক সমিতির ইফতার পার্টিতে উপস্থিত হয়েছিলেন। পার্টিস্থল সাজানো হয়েছিলো পাইরেসি বিরোধী নানা বক্তব্য দিয়ে।

ইফতারের পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য পর্বে বক্তারা চলচ্চিত্রের প্রধান শত্রু পাইরেসির বিরুদ্ধে প্রযোজক সমিতির অভিযান অব্যাহত রাখার কথা ব্যক্ত করেন।

নতুন পরিচয়ে মৌসুমী


নায়িকা, গায়িকা, পরিচালক-এসবের বাইরেও মৌসুমী আরও এক নতুন পরিচয়ে পরিচিত হলেন; ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে কাজ শুরু করেছেন তিনি। গত ২৩ আগস্ট বিকেলে তিনি বসুন্ধরা সিটিতে অবস্থিত তাঁর লিভাইস-এর শোরুমে নিজের ডিজাইনের পোশাক প্রদর্শন করেন। মৌসুমী বললেন, �নিজের জন্য বিভিন্ন রকম জামাকাপড়ের ডিজাইন করতাম। এভাবেই আস্তে আস্তে নিজে কিছু বিষয় নিয়ে কাজ করেছি। এরপর মহিলাদের জন্য নানা রকম জামাকাপড়ের ডিজাইন করেছি এবং এসব পণ্য লিভাইসে পাওয়া যাবে।� তিনি আরও জানালেন, এখন থেকে তিনি নিয়মিত পোশাকের ডিজাইন করবেন।

প্রসঙ্গত, মৌসুমী অভিনয়ের ব্যস্ততা কমিয়ে দিয়ে এখন সংসারজীবন এবং পোশাক ডিজাইনার হিসেবে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

চলচ্চিত্র থেকে তিন্নিকে বাদ দিচ্ছেন সোহান

মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন: অশিল্পীসুলভ আচরণ, শিডিউল নিয়ে ঘাপলা, সময়মতো সেটে না আসা সর্বোপরি সমগ্র চলচ্চিত্রকে অবজ্ঞা করার অভিযোগে শুটিং করার পরও ছোট পর্দার বিতর্কিত অভিনেত্রী শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নিকে 'সে আমার মন কেড়েছে' ছবি থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ছবির পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান।

পরপর দুই দিন শুটিংয়ে না আসার কারণে পরিচালক সোহান তিন্নিকে নিয়ে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেন। ছবির প্রযোজক গোলাম মোরশেদ বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তিনি দেশে ফিরে আসার পর সোহান সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিন্নিকে বাদ দেয়ার কথা ঘোষণা করবেন এবং কারণ ব্যাখ্যা করবেন বলে জানিয়েছেন।

নির্ভরশীল পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান আলোচিত প্রযোজনা সংস্থা সন্ধানী কথাচিত্রের ব্যানারে শাকিব খান এবং তিন্নিকে 'সে আমার মন কেড়েছে' নামে একটি ছবির কাজ শুরু করেছিলেন। প্রথম কয়েকদিন ভাল মতো শুটিং করার পর তিন্নির মধ্যে পরিবর্তন চলে আসে। তিনি শুটিং ফাঁকি দিতে শুর্ব করেন। পরিচালক সোহান তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিন্নির কাছ থেকে কোন সাড়া পাওয়া না গেলেও তিন্নি এসএমএস-এর মাধ্যমে সোহানকে অনেক আপত্তিকর কথা লিখে পাঠান। ৫ লাখ টাকায় ৫ মাস ধরে শুটিং করা সম্ভব নয়- এমন কথাসহ আরও কিছু কথা লেখেন যা ছাপার অযোগ্য। তাছাড়া সিনেমা তার জন্য নয়, তাকে ফোন করার প্রয়োজন নেই- এমনটিও লিখে দিলে সোহান প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে ওঠেন।

তিনি বলেন, যে মেয়ের সিনেমার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নেই, তাকে নিয়ে কাজ করা সম্ভব নয়। আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি এখন প্রযোজক দেশে ফিরে এলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবো। তিনি বলেন, এতে করে আমাদের আর্থিক ৰতি হলেও তিন্নির মতো অশিল্পীসুলভ মনমানসিকতার মেয়েকে নিয়ে কাজ করা সম্ভব নয়।

ছোট পর্দার বিতর্কিত অভিনেত্রী শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি বরাবরই বিতর্কিতভাবে আলোচিত হওয়ার চেষ্টা করেছেন। বিয়ের আগেই প্রেমিক পরবর্তীতে স্বামী হিল্লোলের সঙ্গে আপত্তিকর সম্পর্কের ভিডিও চিত্র মুঠোফোনে এবং ইন্টারনেটে ছেড়ে দেন। বাথর্বমে নিজের নগ্ন ছবিও ইন্টারনেটে এবং মুঠোফোনে ছেড়ে দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করেননি। তার বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন অভিযোগ। বিয়ের পর স্বামী হিল্লোলের সঙ্গে ঝাগড়াবিবাদ স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে যাওয়া আবার ফিরে আসা, অনবরত ঝগড়াবিবাদের কারণে ফ্ল্যাট ছেড়ে দেয়ার নোটিশ থেকে শুরু করে হেন কোন কাজ নেই যা তিন্নি করছেন না।

অভিনেত্রী তিন্নিকে নিয়ে যখন সবাই আশা ছেড়ে দিয়েছেন তখন শাকিব খানের কল্যাণে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত 'সে আমার মন কেড়েছে' ছবিতে নায়িকা হওয়ার সুযোগ পান। এত বড় একটা সুযোগ পেয়ে তিন্নি রীতিমতো আলোচনায় চলে আসেন। চলচ্চিত্রে সিরিয়াসলি অভিনয় করবেন বলে ঘোষণা দেন। কিন্তু কিছুদিন পরই পাল্টে যেতে থাকেন তিনি। সোহানের মতো নামীদামি পরিচালককেও অবজ্ঞা করতে থাকেন। সর্বশেষ গত দুইদিন ধরে তিন্নি শুটিংয়েই আসেননি। তার মুঠোফোন বন্ধ। নির্বপায় হয়ে সোহান তাকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এ বিষয়ে তিন্নির বক্তব্য জানার জন্য তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

অতিথি চরিত্রে হিমু


ঈদের জন্য নির্মিত একটি নাটকে অতিথি চরিত্রে কাজ করছেন এ সময়ের ব্যস্ত অভিনেত্রী হোমায়রা হিমু। মঙ্গলবার নাটকটির শুটিং সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি। মিজানুর রহমান লাবু পরিচালিত 'সূচনার সমাচার' নামের এ নাটকে একটি বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন হিমু। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসলে হঠাৎ করেই আমার এ নাটকে কাজ করা।

কাজটি করে ভালই লেগেছে। কারণ খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটি চমৎকার চরিত্রে কাজ করলাম। উল্লেখ্য, আগামী ঈদকে লক্ষ্য করে হিমু এ পর্যন্ত ১৫টি নাটকে কাজ করেছেন। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হচ্ছে ভাঙা মেলা, ব্যাচেলর ভাড়াটিয়া, ছায়া সঙ্গী, স্বপ্নে দেখা স্বপ্ন, আজব টিভি, ক্লিক ক্লিক, এই ঈদে বাবা নেই ইত্যাদি। হিমু বলেন, সবক�টি নাটক প্রচার নাও হতে পারে। তবে আমি চাই ভাল কাজগুলো প্রচার হোক। কারণ ঈদের ছুটিতে দর্শক নাটক উপভোগ করেন সময় নিয়ে। তারাই তো আমাদের কাজের মূল্যায়ন করেন।

মিডিয়ায় নগ্নতার আগ্রাসন

নগ্নতার আগ্রাসন ব্যাপকভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। নাটকের সংলাপে অশ্লীলতার ছড়াছড়ির পর এবার তথাকথিত তারকা শিল্পীদের ব্যক্তিগত স্বেচ্ছাচারিতা দেশীয় মিডিয়ার মাথা লজ্জায় নত করে দিচ্ছে। কতিপয় অভিনেত্রীকে তারকা হওয়ার সুবাদে স্বেচ্ছাচারিতার চরম পর্যায়ে চলে যেতে দেখা যাচ্ছে। প্রেমিক কিংবা স্বামীর সঙ্গে বৈধ-অবৈধ সম্পর্কের দৃশ্য স্বেচ্ছায় মোবাইল কিংবা ক্যামেরায় ধারণ করে কখনও নিজেরা কখনও আবার ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অভিনেত্রীর ব্যর্থ প্রেমিক সেগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এর ফলে সেই অভিনেত্রীর যত না ক্ষতি হচ্ছে তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে মিডিয়ার। প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য এক সময় মিডিয়ায় মেয়েরা ফাঁদে পা দিয়েছেন এটা সত্য। আজকের অনেক বড় বড় অভিনেত্রী স্বেচ্ছায় হোক কিংবা বাধ্য হয়ে হোক এমনটি করেছেন। তবে ওই সময় ইন্টারনেট ছিল না। মোবাইল ছিল না। ওই সব দৃশ্য যারা ধারণ করতেন তাদের কাছেই থাকতো। দু’একটি অশ্লীল ম্যাগাজিন ছাপতো হয়তো।

কিন্তু এখনকার অবস্থা অন্যরকম। এখন যা কিছুই ইন্টারনেটের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, মানুষের মোবাইলে মোবাইলে ঘুরে-যা দেখে সবাই ছিছি ছিছি করে। আর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় সমগ্র মিডিয়ার। সম্প্রতি দুই জনপ্রিয় অভিনেত্রীর এহেন কর্মকাণ্ডে সমগ্র মিডিয়া বিব্রত। লজ্জায় মুখ তুলতে পারছেন না কেউ। কাউকে দোষও দিতে পারছেন না। কারণ ওইসব ভিডিওচিত্রে দেখা যাচ্ছে টিভির জনপ্রিয় নায়িকারা স্বেচ্ছায় এবং আনন্দচিত্তে নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করেছেন। হয়তো তাদের স্বামী কিংবা প্রেমিকের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ছিল। নয়তো অন্য রকম প্রেম করার সাধ জেগেছিল যা দেখে সবাই মুগ্ধ হবেন। তা না হলে স্বজ্ঞানে এসব কেউ করতে পারে সেটা ভাবতেই বিস্মিত হতে হয়। এখন এসব নিয়ে শুধু দেশীয় মিডিয়ায় নয়, বহির্বিশ্বেও চলছে ব্যাপক আলোচনা। মিডিয়ার কর্তাব্যক্তিদের মাথার ঘাম পায়ে পড়ছে। এর একটা শক্ত প্রতিকারের চিন্তা সবার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।

কেউ কেউ এসব নির্লজ্জ অভিনেত্রী মিডিয়া থেকে নিষিদ্ধ করা এবং তাদের সঙ্গীদের আইনের আওতায় আনার চিন্তা-ভাবনা করছেন। যারা এসব নগ্ন দৃশ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়ানোর দায়িত্ব পালন করছে তাদেরও আইনের আওতায় আনা জরুরি বলে মনে করছেন। সেই সঙ্গে শিল্পীদের সব বিষয়ে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক টেলিভিশন বোদ্ধা বলেছেন, টিভি মিডিয়ার কর্তা ব্যক্তিদের সম্মিলিতভাবে এর প্রতিকারে মাঠে নামা উচিত। একজন সাধারণ মেয়ে কিংবা ছেলে যখন শিল্পী হয়ে যাবে তখন সে শিল্পী সমাজের গুরুত্বপূর্ণ একজন প্রতিনিধি। শিল্পের প্রতি তার দায়বদ্ধতা থাকা উচিত। ব্যক্তি জীবনে সে যেই হোক না কেন যতদিন তার শিল্পী পরিচয় থাকবে ততদিন তাকে নিয়ম কানুন মেনে সতর্কতার সঙ্গে চলতে হবে। ব্যক্তি জীবনকে ব্যক্তিগত পর্যায়েই রাখতে হবে। অন্যথায় তাকে মিডিয়া থেকে বিদায় নিতে হবে। ওইসব শিল্পীর অপকর্মের দায়ভার শিল্পী সমাজ এবং মিডিয়া নেবে না।